মূলঃ সিলভিয়া প্লাথ
অনুবাদঃ কল্যাণী রমা
আমি?
একলা হাঁটি; পায়ের নিচ থেকে
মাঝরাতের রাস্তাটা পাক খেয়ে
নিজেই ঘুরতে থাকে;
আর যেই চোখ বুজি
সব স্বপ্নিল বাড়িই নিভে যায়;
তখন আমার ইচ্ছাতেই শুধু
ছাদের তেকোণা থেকে চাঁদের স্বর্গীয় রূপ
ওই উঁচুতে ঝুলতে থাকে।
আমি
বাড়িগুলোকে ক্রমশঃ ছোট করে ফেলি
গাছগুলো দূরে যেতে যেতে হারিয়ে যায়;
আমার দৃষ্টির সীমানায়
শূন্যে পুতুলের মত মানুষগুলো, দুলছে ওরা
কিভাবে ক্রমশঃ ক্ষয়ে যাচ্ছে না জেনেই
চুমু খাচ্ছে, হাসছে, মাতাল হচ্ছে
অথচ আমার চোখের পলক
পড়লেই সকলের মৃত্যু।
আমি
যখন ভালো থাকি, যখন খুশি থাকি,
ঘাসের গায়ে সবুজ রঙ এঁকে দিই
আকাশের বুকে নীল গয়না পরাই,
সূর্যকে সোণালি;
তবু সব ধূসর-মন-খারাপে
আমার হাতেই সব শক্তি
সব রঙ ধুয়ে ফেলি,
কোন ফুল কোথাও ফোটে না।
আমি
জানি তুমি আস, এসে দাঁড়াও আমার পাশে- জীবন্ত, উজ্জ্বল,
অস্বীকার করলেও তোমার এ জন্ম
আমার মাথার ভিতর থেকেই,
দেখ তবুও ভাবছ
প্রেম এমন আগুন জ্বালাতে পারে যে
শরীর, মাংস, চামড়া সবই সত্য বলে মনে হয়,
প্রিয়, তোমার সৌন্দর্য, মেধা, সব সবকিছু শুধু
তোমাকে আমার উপহার।